বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ধান কেটে নেওয়ার পড়ে ধন গাছের গোড়া মাটির সঙ্গে লেগে থাকে। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই সেই গোড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে কৃষি জমিতে। চলতি কথায় একেই বলা হয় ‘নাড়া পড়ানো’।

 

আর সেই বিষাক্ত ধোঁয়া দিল্লি সহ একাধিক জায়গার পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। গত কয়েক বছর ধরেই পরিবেশবিদেরা এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব। এবার সেই ঘটনাই ঘটতে দেখা যাচ্ছে বাংলায়। হুগলির একাধিক ব্লকে কৃষি জমিতে অবাধে চলছে নাড়া পোড়ানো। দাউ দাউ করে জমিতে জ্বলছে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢাকছে আকাশ, বাতাস। বাতাসে মিশছে বিষ। উদাসীন প্রশাসন। হুগলি জেলার গ্রামীণ এলাকার বহু জায়গাতেই নিয়মিত দেখা যাচ্ছে এই ছবি৷ হুগলির তারকেশ্বর, হরিপাল, সিঙ্গুর, ধনিয়াখালি জাঙ্গিপাড়া সহ একাধিক ব্লকে কৃষি জমিতে দিন রাত দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢাকছে আকাশ, বাতাস। বাতাসে তৈরি হচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস।

প্রশ্ন উঠেছে কেন এই নাড়া পড়ানো হচ্ছে? গত আট দশ বছর ধরে ধীরে ধীরে জমিতে নাড়া পোড়ানোর প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে কৃষকদের মধ্যে। কারণ হিসেবে উঠে আসছে কৃষি জমিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার। পাশাপাশি ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ ফেলার জায়গার অভাব অথবা খরচ বেড়ে যাওয়ার ভয়। যদিও জমিতে পরে থাকা খড়কুটো বা নাড়াকে ব্যবহার করে জৈব সার তৈরি করা যায় বলে মত কৃষি বিশেষজ্ঞদের। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরকম কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনও। সরকারি ভাবে জেলায় কৃষি দফতরের উদ্যোগে নাড়া পোড়ানো বন্ধের জন্য এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিলি করা হলেও সেই সারা পড়েনি কৃষকদের মধ্যে। এখন দেখার এই বিষয়ে রাজ্য কৃষি দপ্তর কি ব্যবস্থা নেয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *