বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সাংসদ কল্যাণ বনাম তৃণাঙ্কুর খেলা বেশ জমে উঠেছে। এর আগেও বার বার তৃণাঙ্কুরের বিরুদ্ধে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন অভিযোগ করেছিলেন। রবিবার ডোমজুড় উৎসবের প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই তৃণাঙ্কুরকে নিশানা করেন কল্যাণ।

 

রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর কাণ্ডের সময় থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত হয়ে যে সব মেডিক্যাল পড়ুয়া সাসপেন্ড হয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে কিছু না বলার জেরেই তৃণাঙ্কুরকে আক্রমণ শানান কল্যাণ। এই ইস্যুতে তৃণাঙ্কুরকে নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, এমন ছাত্র সভাপতি থেকে লাভ কী? তাঁর কন্ঠস্বরে ছিল তীব্র শ্লেষ। এমনিতেই উত্তরবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তৃণাঙ্কুর যুক্ত বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ কানে এসেছে।

কূটনৈতিক মহলের ধারণা এর মধ্য দিয়ে কল্যাণ আবার তৃণমূলের নবীন বনাম প্রবীণ ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসলেন। কমবেশি সকলেই জানেন যে তৃণাঙ্কুর অভিষেক ঘনিষ্ঠ। আরজি কর কাণ্ডের পর বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হয়।

জানা যায়, সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়ারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গেই যুক্ত বলে দাবি করা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র সঙ্গে নবান্নে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানেও অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দরা এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এদিকে সাসপেন্ড হওয়া মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পাশে দল দাঁড়ায়নি। এই নিয়ে গতকাল কল্যাণ বলেন, ‘টিএমসিপি-র এতগুলো ছেলে সাসপেন্ড হয়ে গেল, আর টিএমসিপির সভাপতির মুখ থেকে কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে যে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে?’ সাধারণ মানুষ অবশ্য কল্যাণ বনাম তৃণাঙ্কুরের এই নাটক রসিয়ে উপভোগ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *