বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সদ্য স্বাধীন ভারত। সালটা ১৯৪৯। জাপানের শিশুরা চিঠি লিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর কাছে তাদের দেশের জন্য একটা হাতি উপহার চেয়েছিল। শিশুদের কথা কখনো চাচাজি ফেরাতে পারতেন না।
তিনিও একটা উপযুক্ত হাতির খোঁজ করা শুরু করলেন। অবশেষে পাওয়া গেলো এক হাতির সন্ধান। মাইসোরে পাওয়া গিয়েছিল সেই হাতি, নাম ছিল তার ‘ইন্দিরা’। জওহরলাল নেহরুর মেয়ের নাম। ১৯৪৯-এর ২৫ সেপ্টেম্বর, ইন্দিরা নামের হাতিটি এসে পৌঁছয় উয়েনো চিড়িয়াখানায়। হাজার হাজার লোক এসেছিল তাকে দেখতে। হাতিটিরল সঙ্গে জাপানি শিশুদের উদ্দেশে একটি বার্তাও পাঠিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু।
সকলেই খুশি সেই হাতি দেখে। নেহেরুজি সেই হাতির সঙ্গে এক বার্তায় লিখলেন, মাইসোরে পাওয়া গিয়েছিল সেই হাতি, নাম ছিল তার ‘ইন্দিরা’। জওহরলাল নেহরুর মেয়ের নাম। ১৯৪৯-এর ২৫ সেপ্টেম্বর, ইন্দিরা নামের হাতিটি এসে পৌঁছয় উয়েনো চিড়িয়াখানায়। হাজার হাজার লোক এসেছিল তাকে দেখতে। হাতিটিরল সঙ্গে জাপানি শিশুদের উদ্দেশে একটি বার্তাও পাঠিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। নেহেরুজি সেই হাতির সঙ্গে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, “আশা করি যখন ভারত এবং জাপানের শিশুরা বড় হবে, তখন তারা শুধু তাদের মহান দেশগুলিতেই নয়, সমগ্র এশিয়া এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সহযোগিতা আনবে। ইন্দিরা নামের এই হাতিটি ভারতের শিশুদের পক্ষ থেকে জাপানি শিশুদের পাঠানো স্নেহ ও শুভেচ্ছার উপহার। হাতি এক মহৎ প্রাণী। তারা জ্ঞানী, ধৈর্যশীল, শক্তিশালী এবং তারপরও মৃদু স্বভাবের। আশা করি, আমাদের সকলের মধ্যেও এই গুণাবলীগুলির বিকাশ ঘটবে।”