বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো কলসেন্টারের মাধ্যমে ইউনাইটেড কিংডমে প্রতারণার জাল ছড়ানোর ঘটনায় গভীরে ঢুকতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এবার প্রতারিতদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করল মাটিগাড়া থানার পুলিশ।
কম্পিউটার বিশেষজ্ঞের দলকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁরা মাটিগাড়ার ওই কলসেন্টারে ব্যবহৃত কম্পিউটার থেকে ফোন নম্বর জোগাড় করছেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রতারণাচক্রের মাথারা এখন পাহাড়ে। তাদের ধরতে একটি আলাদা বিশেষ দল গঠন করা হয়। এদিকে, ওই কলসেন্টার যে ঘরে চলত, সেটা অন্য একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের ডাকা হয়েছে থানায়। চলছে বিস্তারিত খোঁজখবর।
একসময় শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছিল ভুয়ো কলসেন্টার। তারপর লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে অধিকাংশ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি ফের শহর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে কলসেন্টারের রমরমা নিয়ে অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। আইটি পার্কে এধরনের কারবার চলছে, সেই তথ্যও এসেছিল পুলিশের হাতে। সেই খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এক ম্যানেজার পদমর্যাদার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ২৯ কর্মীকে আটক করা হয়। পরে সেই ২৯ জনের মধ্যে থেকে সৌরভ সাউকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে জানা যায়, তিনিও ম্যানেজার পদে এক বছর ধরে কাজ করছেন।
আটক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, তথ্যের গোপনীয়তা রাখতে কর্মীদের কাছে ইউনাইটেড কিংডম থেকে ফোন আসত। এরপর তাঁরা কথাবার্তা শুরু করতেন ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর (প্রতারিতর) পছন্দ-অপছন্দ বুঝে তালিকা তৈরি করতেন ভুয়ো কলসেন্টারের কর্মীরা। এরপর ফোনকলটি সরাসরি মূলচক্রীদের ফরওয়ার্ড করতেন। নতুন করে ফোন করার সুযোগ ছিল না আটক কর্মীদের কাছে। অর্থাৎ একবার ফোন কেটে গেলে আর যোগাযোগের উপায় ছিল না।
প্রশ্ন উঠছে, প্রতারিতরা তাহলে এঁদের নম্বর পেতেন কোথা থেকে? তদন্তকারীদের অনুমান, এক্ষেত্রে দুটো সম্ভাবনা। এক, প্রতারিতরা অন্য কোনও জায়গায় নম্বর দেখে ফোন করতেন। দুই, আটক হওয়া কর্মীদের ছাড়াও অন্যান্য কর্মীরাও যুক্ত ছিলেন। কিভাবে এই ঘটনা দিনের পর দিন ঘটে যাচ্ছিল সেটা ভেবেই পাচ্ছেনা পুলিশ।