বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:একেই হয়তো বলে ‘অসম্প্রদায়িকতা! বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নারসিন উদ্বোধন করলেন হিন্দুদের দুর্গাপুজো।

 

তসলিমা হিন্দু না হলেও, কোনও ধর্মেই তাঁর বিশ্বাস না থাকলেও, তাঁকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দিল্লির পশ্চিম বিহার এলাকার এক দুর্গাপুজোর উদ্বোধনের জন্য। তসলিমার মতে, এটাই অসাম্প্রদায়িকতা। আয়োজকদের এই উদারতায় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন লেখিকা। তিনি মুগ্ধ হয়ে বলেছেন, “আমি হিন্দু নই। আমি কোনও ধর্মবিশ্বাসী মানুষ নই। কিন্তু মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম। তা সত্ত্বেও আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলো হিন্দুদের পুজো উদবোধন করার জন্য। এর নামই অসাম্প্রদায়িকতা। যখন আমার জন্মের দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতার আগুনে পুড়ছে প্রতিদিন, তখন কোথাও অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ দেখলে মন ভাল হয়ে যায়।”

প্রসঙ্গত হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে দুর্গাপুজো করা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা সংকট। শেষ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরও বৈষম্য থেকেই গিয়েছে। নইলে কি আর দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের সুরক্ষায় সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করতে হয়? এই অবস্থাতেই, মন ভাল করা অসাম্প্রদায়িকতার ছোঁয়া পেলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকর্মী প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। বরাবরই ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার তসলিমা নাসরিন। এর জন্য তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। আশ্রয় নিয়েছিলেন কলকাতায়। এখানেও মৌলবাদীরা তাঁর পিছু ছাড়েনি। বর্তমানে দিল্লিতেই থাকেন তিনি। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালা বদলের পর থেকেই, তথাকথিত ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’, ইউনুস সরকারের ‘আসল রূপ’ ফাঁস করছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আন্দোলন ছাত্র-জনতার ভেবে তিনিও আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন। পরে বুঝেছেন, এটা ছিল মৌলবাদীদের একটা চক্রান্ত। ইউনুস যতই ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ান, বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি মৌলবাদীদের হাতে চলে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *