বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখে বৃষ্টি তাই চিন্তায় উদ্যোক্তারা, গত তিনদিন ধরে শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো মাঝারি কখনো ভারি, শিলিগুড়ির অধিকাংশ প্যান্ডেলের কাজ এখনো শেষ হয়নি, তাই চিন্তায় পড়ে গেছেন উদ্যোক্তারা।

 

শিলিগুড়ির সবকটি জায়গায় বৃষ্টি এবং হাওয়ার কারণে প্যান্ডেলের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সব জায়গায় প্যান্ডেল শুরু করে ও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ জায়গায় আস্তে আটকে আছে কাজ। শিলিগুড়ি শহরে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে হালকা থেকে ভারী অথবা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। যে কারণে উদ্যোক্তারা বিষন্ন হয়ে পড়েছেন পুজো প্যান্ডেলের কাজ নিয়ে। যদিও আবহাওয়া দপ্তরের থেকে জানানো হয়েছে এভাবে পুজোর সময় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে এই বছর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস কে ভুল প্রমাণ করে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে মোট ১ থেকে দেড়শ প্যান্ডেল এখনো সম্পূর্ণভাবে তৈরি হতে পারেনি। যারা প্যান্ডেল তৈরি করছেন তারা জানিয়েছেন বৃষ্টির কারণে প্রচন্ডভাবে বাধা পাচ্ছেন তারা প্যান্ডেল তৈরি করতে। উদ্যোক্তারাও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন শিলিগুড়িতে , আর বেশি দেরি নেই পুজোর, কিন্তু কাজ বাকি আছে অনেক, তাই বৃষ্টিকে হারিয়ে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সেটা নিয়ে চিন্তিত উদ্যোক্তারা এবার পুজো পড়েছে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে, সাধারণত এই সময় বৃষ্টি থাকে না বললেই চলে, কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গতবারে চাইতে অনেকটাই বেশি। তাই চিন্তিত পুজো কমিটি সদস্য রাও। থাকে কাঠি পড়ার আগে তারাও চাইছেন যেভাবেই হোক পুজো প্যান্ডেলের কাজ শেষ করে দিতে। তবে তাদের সময় কতটা সহায়তা করবে এটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়। শিলিগুড়ির বড় বড় প্যান্ডেলের কাজ মোটামুটি শেষের দিকে, ঘরোয়া পুজো গুলো নিয়েও খুব একটা সমস্যা নেই, কিন্তু সমস্যা আছে ছোট ছোট পুজো নিয়ে, তাদের প্যান্ডেলও তৈরি হয়নি কাপড় লাগানো তো দূর অস্ত। তারা জানিয়েছেন
পুজোর চাঁদা তোলাই দুষ্কর হয়ে গেছে , বাজারের অবস্থা সাংঘাতিক, আবার এর উপরে চাঁদা কাটা লোক পাওয়া যায় না। সবচাইতে বড় সমস্যা চাঁদা কাটার লোক পাওয়া গেলেও বিভিন্ন রকম কাজের সাথে সবাই যুক্ত থাকেন, সেই কারণে পর্যাপ্ত সময় কেউই দিতে পারেন না। কাজেই আবহাওয়ার সংকট তো আছেই, তার সাথে যুক্ত হয়েছে অর্থের সংকট। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ছড়িয়ে আছে পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের মধ্য। পুরোপুরি নিশ্চিত না হতে পেরে এই কটা দিন আশঙ্কায় সময় কাটছে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *