বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
বছরের শুরুতেই ফিফার বষর্সেরা পুরস্কার জিতলেন মেসি। মাঠের বাইরে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে হারালেন হালান্ডকে। পারফরম্যান্সের নিররিখে দুই তারকাই একে অপরকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাজিমাৎ করলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়কই। ব্যালেন ডি’ওর জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের পুরস্কার মেসির ঝুলিতে। এবার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন নীল সাদার রাজপুত্র।
মেসি ও হালান্ডের মধ্যে ভোটের লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। দুই তারকা ফুটবলারই পেয়েছেন ৪৮ পয়েন্ট। কিন্তু মেসির পক্ষে গিয়েছে জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোট। মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে প্রথম পছন্দের তালিকায় এগিয়ে থাকায়। ফিফার সংবিধানের এর ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত।
ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী, মিশরের সালাহ, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন সহ বেশিরভাগ জাতীয় দলের অধিনায়কের ভোটই পেয়েছেন মেসি। ফলে এমবাপের মতোই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হালান্ডকে হারিয়ে বর্ষসেরা পুরস্কার জিতে নিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
টানা দ্বিতীয়বার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ হয়েছেন লিওনেল মেসি। সব মিলিয়ে তৃতীয়বার। সোমবার রাতে ‘ফিফা দ্য বেষ্ট’ অনুষ্ঠান হয়েছে লন্ডনে। ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ এর জমকালো সেই রাতে মেসি উপস্থিত থাকতে পারেননি। সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকা ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি মেসির হয়ে পুরস্কারটি নেন। কিন্তু কেন এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না মেসি?
আর্জেন্টিনার একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মেসির ইন্টার মায়ামির হয়ে কোনও অনুশীলনে অনুপস্থিত থাকতে চাননি। লন্ডনে গেলে মায়ামির হয়ে ৪টি অনুশীলন সেশনে অনুপস্থিত থাকতে হত তাঁকে। প্রাক-মরসুমে মায়ামির হয়ে মাঠে নামার আগে মেসি যেটা করতে চাননি। ফলে এই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। আইতানা বোনমাতির মহিলাদের মধ্যে বর্ষসেরা ফুটবলার হন।
এদিকে, ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দিনেই বিহার পুলিশের পক্ষ থেকে সমন পেলেন মেসি। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মেসিকে বিহার জেলা উপভোক্তা কমিশন ১২ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছে।
মেসি মুজাফফরপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন বলে জানা গিয়েছেন। একজন আবেদনকারীর অভিযোগ, তাঁর ছেলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়, কিন্তু পুরো কোর্সটি শেষ না করেই বাদ পড়ে। ছেলের কলেজে পড়াশুনার খরচ মেটানোর পাশাপাশি লোনও শোধ করতে হয়েছে আবেদনকারীকে। কিন্তু কোর্স শেষ হওয়ার আগে বাদ পড়ায় উপভোক্তা কমিশনের দ্বারস্থ হন।একইসঙ্গে সমন পাঠানো হয়েছে শাহরুখ খানকেও।