তারাশঙ্কর গুপ্ত ,বাঁকুড়ার : আজই গোধূলি লগ্নে তার বিয়ে। বাড়িতে ব্যস্ততা প্রচুর । কিন্তু মেয়ের ইচ্ছে নিজের বিয়েতে অন্যের জন্য কিছু করতে । সে চেয়েছিল নিজের আনন্দ অন্যের সাথে ভাগ করে নিতে। ছোটবেলা থেকেই সে কিছু না কিছু করতে চেয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য ।
আজ তাই সে চেয়েছিল তার বিয়ের প্যাণ্ডেলে হোক রক্তদান শিবির ।তার এই বায়না হাসিমুখে মেনে নিয়েছিল বাড়ির সকলেই । সেই মেয়েটি হল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম কুকড়াঝোড়ের ছন্দা মন্ডল।
ছোটবেলা থেকেই ছন্দা লোক সেবা করতে ভালোবাসে। আর নিজের বিয়েতে ও সে চেয়েছিল সাধারণ মানুষের জন্য দুস্থ মানুষের জন্য কিছু করে যেতে। সে জন্যই সে বাড়ির লোকের কাছে আবদার করে তার বিয়েতে যেন একটা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ।
বাড়িতে যখন তার গায়ে হলুদ চলছে ঠিক তখনই সেই প্যান্ডেলেই চলছে রক্তদান শিবির। নিজেও মাঝে মাঝে উঠে এসে যারা রক্ত দান করছেন তাদের শুশ্রূষা করে যাচ্ছেন ছন্দা।
ছন্দার কাকা কার্তিক মণ্ডল জানালেন মেয়ে বায়না করেছিল যে তার বিয়েতে রক্তদান শিবির করতে হবে। জানতাম ব্যাপারটা কষ্টকর কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম যে ওর ইচ্ছে পূরণ হোক। একটা রক্তদান তিনটে জীবন বাঁচাতে পারে তাই আমরাও ওর এই রক্তদান শিবির করার ইচ্ছা তে সম্মতি জানাই। আজ এখানেই রক্তদান শিবির চলছে ।
ছন্দা মন্ডল বলেন আমার ইচ্ছা ছিল আমার বিয়েতে আমি অন্য দুঃস্থ মানুষদের জন্য কিছু করে যাই। আমার ইচ্ছে ছিল যে ১০০ জন অন্তত রক্ত দান করুন। আমরা সেই টার্গেট পূরণ করতে পেরে খুশি। খুশি গ্রামের মানুষও। একটু অন্যরকম ভেবেছে ছন্দা তাই গ্রামের মানুষ হাসিমুখে সাথে থেকেছেন তার।