তারাশঙ্কর গুপ্ত ,বাঁকুড়া : বিষ্ণুপুর বেড়াতে গেছেন,ভাবছেন আত্মিয় বন্ধুদের জন্য কি নিয়ে যাবেন। কারণ বিষ্ণুপুরের বালুচরি বা স্বর্ণচরি বেশ ব্যায় সাপেক্ষ।এসব জিনিস উপহার দেওয়া সাধ্যের অতীত। কিন্তু এবার সেই সমস্যা আর থাকলোনা। বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন নিয়ে এল বিষ্ণুপুর গেঞ্জি।
বিষ্ণুপুরের পর্যটন উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক বিকাশে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক একের পর এক উদ্যোগ নিয়েছেন।কখনো বালুচরি হাট আবার কখনো নিজস্বী প্রতিযোগিতা। প্রতি শনিবার শুরু বসছে পোড়ামাটির হাটে।বিষ্ণুপুরের জঙ্গল ঘেরা পরিবেশে সুযোগ হয়েছে হ্যামকে দোলার।এবার নিয়ে এলেন বিষ্ণুপুর গেঞ্জি।
মহকুমা শাসক মানস মন্ডল জানান আপাতত স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলিকে এর বিপননের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিষ্ণুপুর পর্যটনের প্রচারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ঘটবে। তিনি আরো জানান আমরা অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়ে দেখি সেখানের নাম লেখা গেঞ্জি পাওয়া যায়। এবার বিষ্ণুপুরের ও পাওয়া যাবে।
তাছাড়া পর্যটকরা এটি উপহার হিসেবে ও ব্যবহার করা যাবে। এই গেঞ্জি গুলিতে থাকবে দলমাদল কামান,রাসমঞ্চ,বাসুদেব পুরের চাতাল প্রভৃতি ছবি। পর্যটনের প্রচারে এটি আরো একটি ছোট্ট প্রয়াস।
বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি টুরিস্ট গাইডরাও। গাইড উত্তম পাল বলেন এই গেঞ্জি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াবে। এই গেঞ্জি পোড়ামাটির হাট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।