অতনু গোস্বামী, নদীয়া : জগদ্ধাত্রী পূজার বিসর্জনে পূজা কমিটির সদস্যদের সাথে অস্বাভাবিক দাদাগিরি ও মারধরের অভিযোগ উঠল কর্মরত পুলিশের কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, প্রতিমার শোভাযাত্রার গতি কমে যাওয়ার অভিযোগ তুলে একটি পূজা কমিটির সম্পাদক কে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে শান্তিপুর থানার কর্মরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারেল বিরুদ্ধে।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অসিত বিশ্বাস নামে ওই আক্রান্ত ব্যক্তি কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিমা বিসর্জন পর্ব বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে পরে প্রতিমা সহ অন্যান্য পূজা উদ্যোক্তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় মোতায়েন হয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী।
পূজা উদ্যোক্তা সূত্রে খবর, সোমবার রাতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে নদীয়ার শান্তিপুরের বিভিন্ন পূজা উদ্যোক্তা ও বারোয়ারি সদস্যরা সারিবদ্ধভাবে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন করার জন্য নদীর দিকে এগোতে থাকে।
অভিযোগ আনুমানিক ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিপুর কৃষ্ণকালিতলা দিয়ে খুদে কালি তলা বাবারোয়ারির প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছিল পূজা উদ্যোক্তারা সেই সময়ে শোভাযাত্রার গতি কম থাকার কারণ দেখিয়ে অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার খুদে কালিতলা পূজা কমিটির সম্পাদক অসিত বিশ্বাস কে বেধড়ক মারধর করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় অসিত বাবু কে প্রথমে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনার পর পুলিশের প্রতি ক্ষোভ উগলে দেয় অন্যান্য স্থানীয় পূজা উদ্যোক্তারা। এবং রাস্তার ওপর প্রতিমা গুলিকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রেখে বিসর্জন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় সমস্ত বারোয়ারির সদস্যরা। পরে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।