তারাশঙ্কর গুপ্ত, :বাঁকুড়ার :তৃণমূলকে রুখতে সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছেড়ে হাত মেলাল সিপিএম ও বিজেপি। উপর মহলের নির্দেশ যাই থাকুক না কেন,নিচু তলার কর্মীরা কিন্তু জোট গড়লেন।উদ্দেশ্য একটাই তৃণমূলকে আটকানো। তাই সিমলাপালের পার্শ্বলা পঞ্চায়েতটি সিপিএম গঠন করলো বিজেপির সমর্থন নিয়েই।
১২ টি আসনের পার্শ্বলা পঞ্চায়েতটিতে সিপিএম পায় পাঁচটি আসন তৃণমূল ও পায় পাঁচটি আসন। আর বিজেপি পেয়েছিল ২ টি আসন।তাই বোর্ড গঠন কে করবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শেষমেশ বিজেপির দুজন সদস্য সিপিএম এর প্রধান পদ প্রার্থীকে সমর্থন করেন। ফলে বোর্ড গড়লো সিপিএম। প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সিপিএম এর সূপর্ণা দুলে এবং উপ প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির লালমোহন মাহাতো ।
সিমলাপালের সিপিএম নেতা মঙ্গল হাঁসদা জানান গ্রামের মানুষ চেয়েছিলেন তৃণমূলের মতো অত্যাচারী দলকে আটকাতে। তাই জোট হয়েছে গ্রামের মানুষের ইচ্ছেকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য। দলের উপর মহলের কোন নির্দেশ ছিল না জোট করার জন্য। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুজিত অগস্তি জানান নিচুতলায় এরকম জোট হয়েই থাকে। দলের কোন নির্দেশ নেই।
আসলে মানুষ চাইছে যে কোন ভাবে তৃণমূলকে আটকাতে। যদিও তৃণমূল নেতা তথা জেলাপরিষদের সদস্য সুখেন বিদ বলেন সিপিএম বিজেপির যে তলায় তলায় আঁতাত আছে তা এবার প্রকাশ্যে এল।এসব অশুভ জোট টিকবে না। আর স্বার্থের জোট করে মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন যজ্ঞ আটকানো যাবে না। আর মানুষ এই স্বার্থের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করবেন।
যদিও সব অনুশাসন আর নীতির বাইরে গিয়ে নিচুতলার এই জোটে আখেরে কার লাভ হবে তা চিন্তায় রাখছে সব রাজনৈতিক দল গুলিকেই।