বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ঠিক ‘টলি পাড়া’ বলাটা ঠিক নয়, অন্তত প্রকাশ্যে স্বরূপ বিশ্বাসের উপর তীব্র ক্ষোভ উগ্রে দিলেন টলিউডের প্রায় অধিকাংশ পরিচালক ও প্রযোজকরা। আসল বিষয় হলো, আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় গোটা রাজ্য যখন উত্তাল, ঠিক তখনই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেও যৌন হেনস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে।

আর তখনই ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস ‘সুরক্ষা বন্ধু’ নামে একটা কমিটি গঠনের কথা বলেন। যে কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য যৌন হেনস্থার ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানো। এই কমিটি গঠনের পরই স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, টলিপাড়ায় যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জমা পড়েছে, তার ৬০ শতাংশ পরিচালকদের বিরুদ্ধে, আর ৪০ শতাংশ প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। স্বরূপ বিশ্বাসের এই কথার পরেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পরে পরিচালক ও প্রযোজকরা।

একটা বিষয় নাগরিক মহলের কাছে খুবই পরিষ্কার যে এই পরিচালক ও প্রযোজকরা প্রধানত ক্যামেরার পিছনে থাকেন। তাই ভোটের বাজারে তাঁদের মুখশ্রী বিক্রির ততটা সম্ভাবনা নেই। তাই তাঁদের নাকে কুৎসা করছেন তিনি। ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১০ বছরের শিশুও জানে, যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে যেকোনও হয়রানির মূলসূত্র হল ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার ক্ষেত্রে পরিচালক ও প্রযোজকরা কোন স্থানে আছেন, তা সাধারণ মানুষ জানেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা অস্বাভাবিক নয়। তবে মানুষ এটা জানেন না যে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির স্বঘোষিত নিয়ামক সংস্থা হল ফেডারেশন। যৌন হয়রানির ঘটনায় পরিচালক, প্রযোজকরা যেমন কোনও বিচারসভা বসাতে পারেন না। তেমনই ফেডারেশনেরও এমন কোনও কমিটি তৈরির আইনি বৈধতা নেই। ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১০ বছরের শিশুও জানে, যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে যেকোনও হয়রানির মূলসূত্র হল ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার ক্ষেত্রে পরিচালক ও প্রযোজকরা কোন স্থানে আছেন, তা সাধারণ মানুষ জানেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা অস্বাভাবিক নয়। তবে মানুষ এটা জানেন না যে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির স্বঘোষিত নিয়ামক সংস্থা হল ফেডারেশন। যৌন হয়রানির ঘটনায় পরিচালক, প্রযোজকরা যেমন কোনও বিচারসভা বসাতে পারেন না। তেমনই ফেডারেশনেরও এমন কোনও কমিটি তৈরির আইনি বৈধতা নেই। এখন দেখার কোথায় গিয়ে শেষ হয় এই বিতর্ক!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *